ভেবেছিলাম এই বইটার রিভিউ দেবো না। কারণ এই বইয়ের রিভিউ দিতে যে যোগ্যতা লাগে তা আমার নেই। দ্বিতীয়ত, এই বই সম্পর্কে যাইই বলতে যাই মনে হয় স্পয়লার হয়ে যাবে। বইটা তিন অধ্যায়ের। প্রথম অধ্যায়ের স্পয়লার না দিয়ে দ্বিতীয় বা তৃতীয় অধ্যায় সম্পর্কে আসলে বলা সম্ভব না।
গতদিন সিডনি শেলডনের দ্য নেকেড ফেস বইটার রিভিউ তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ইনবক্সে প্রায় পঞ্চাশজন বইটা কিভাবে পাবে এই বিষয়ে আমার কাছে জানতে চেয়েছে। আর শুধুমাত্র এই কারণে সিডনির সেরা কাজটা নিয়ে কয়েক লাইন লেখার প্রয়োজন বোধ করলাম। কারণ আমার মতে, যেসব পাঠক সিডনিকে চিনতে চান তাদের জন্য এই বইটা অবশ্যপাঠ্য।
আমার থ্রিলার পড়া শুরু হয়েছিলো এই বইটা দিয়ে। এতটাই মুগ্ধ করেছিলো এই বই আমাকে যে রীতিমত থ্রিলার লাভার হয়ে গিয়েছিলাম। তারপর অজস্র থ্রিলার পড়েছি, কিন্তু সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারে এই বইটা আমার পড়া সেরা বই ছিলো,আছে, থাকবে।
গল্পটার শুরু হয়েছে তিন তরুণীকে দিয়ে অ্যাশলি,টনি আর অ্যালেট। তিনজন সম্পূর্ণ তিন ধরনের। টনি খুব রাগী, জেদি। অ্যাশলি খুব ভোলাভালা আর অ্যালেট খুব মায়াবতী আর দানশীল মেয়ে। টনি পছন্দ করে গান গাইতে,অ্যালেট পছন্দ করে ছবি আঁকতে আর অ্যাশলি একজন কম্পিউটার গ্রাফিক্স এক্সপার্ট। টনি পার্টি করতে পছন্দ করে,ছোট ছোট ড্রেস পরে। কিন্তু অ্যাশলি এসব পছন্দ করে না। এদিকে টনি আবার অ্যাশলিকে দেখতে পারে না তবে অ্যালেটকে খুবই ভালোবাসে। অ্যালেট সাধারণত টনির কথার বাইরে কিছু করে না।
দেশের ভিন্ন ভিন্ন শহরে ঘটে গেলো অনেকগুলো খুন। সবগুলো খুন একই প্যাটার্নে করা হয়েছে বলে পুলিশ সন্দেহ করতে থাকে এটা নিশ্চয়ই কোনো স্যাইকোপ্যাথের কাজ।
প্রথম অধ্যায়ে আপনারা খুনের বর্ণনা পাবেন,পরের অধ্যায়ে পাবেন বিচার চলাকালীন সময়ের গল্প আর শেষ অধ্যায়ে পাবেন মানসিক চিকিৎসার বর্ণনা। থ্রিলার থেকে সাধারণত শেখার কিছু থাকে না কিন্তু এই বইটা থেকে শেখার অনেক কিছু পাবেন। (MPD) নিয়ে টেক্সটবুক পড়ার পাশাপাশি এই বইটা গল্পচ্ছলে পড়েও ভবিষ্যত সাইকিয়াট্রিস্টরা অনেক কিছু শিখতে পারবেন বলেই আমার ধারণা। এবং আমার আরো ধারনা এটাই সিডনি শেলডনের সারাজীবনে লেখা সেরা উপন্যাস।
টেল মি ইউর ড্রিমস pdf
[ ডাউনলোড করুন ]
